Friday, April 13, 2012
Thursday, April 12, 2012
আইফোনে এলো সুন্দর স্বপ্নের অ্যাপ
সম্প্রতি এক মনোবিজ্ঞানী নতুন এক আইফোন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছেন, যার কাজ
হবে ঘুমের মধ্যে মানুষকে সুন্দর স্বপ্ন দেখানো। প্রফেসর রিচার্ড ওয়াইজম্যান
নামের ওই মনোবিজ্ঞানী আশা করছেন পরীক্ষামূলক এই কাজে হাজার হাজার মানুষ
অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে অংশ নেবেন। খবরটি জানিয়েছে বৃটিশ দৈনিক
গার্ডিয়ান।
সূত্র জানিয়েছে, বিশেষভাবে ডিজাইন করা অ্যাপ্লিকেশনটি সমেত আইফোন বিছানায় রাখলে তা বুঝতে পারবে ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তি নড়াচড়া করছেন কি না। এটি তখন বিভিন্ন ধরনের সাউন্ডস্কেপ বা শব্দ তৈরি করবে যা মনোরম দৃশ্য কল্পনায় আনবে। গার্ডিয়ান বলেছে, বনের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়া বা সমুদ্র সৈকতে শুয়ে থাকার মতো দৃশ্য কল্পনায় আনতে সাহায্য করবে সেসব শব্দ।
মনোবিজ্ঞানী ধারণা করছেন, এই ধরনের শব্দ শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লে ঘুমন্ত ব্যক্তি কী স্বপ্ন দেখবেন তা এই শব্দ দ্বারাই প্রভাবিত হবে। ফলে, ঘুমের মধ্যে ভয়ঙ্কর কোনো স্বপ্ন দেখার বদলে ‘সুইট ড্রিম’ দেখতে পাবেন এই অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহারকারীরা।
ড্রিম:অন নামের এই অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে ও বিস্তারিত dreamonapp.com ওয়েবসাইটে জানা যাবে।
সূত্র জানিয়েছে, বিশেষভাবে ডিজাইন করা অ্যাপ্লিকেশনটি সমেত আইফোন বিছানায় রাখলে তা বুঝতে পারবে ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তি নড়াচড়া করছেন কি না। এটি তখন বিভিন্ন ধরনের সাউন্ডস্কেপ বা শব্দ তৈরি করবে যা মনোরম দৃশ্য কল্পনায় আনবে। গার্ডিয়ান বলেছে, বনের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়া বা সমুদ্র সৈকতে শুয়ে থাকার মতো দৃশ্য কল্পনায় আনতে সাহায্য করবে সেসব শব্দ।
মনোবিজ্ঞানী ধারণা করছেন, এই ধরনের শব্দ শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লে ঘুমন্ত ব্যক্তি কী স্বপ্ন দেখবেন তা এই শব্দ দ্বারাই প্রভাবিত হবে। ফলে, ঘুমের মধ্যে ভয়ঙ্কর কোনো স্বপ্ন দেখার বদলে ‘সুইট ড্রিম’ দেখতে পাবেন এই অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহারকারীরা।
ড্রিম:অন নামের এই অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে ও বিস্তারিত dreamonapp.com ওয়েবসাইটে জানা যাবে।
সাতক্ষীরা সীমান্তে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
সাতক্ষীরা সীমান্তে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
- ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা ফের এক বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত সিরাজুল ইসলাম (৩২) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারি ইউনিয়নের কালিয়ানি গ্রামের সৈয়দ আলি সরদারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে সদর উপজেলার বৈকারি সীমান্তের বিপরীতে ভারতের ছোট বাঁকড়া এলাকার কৈজুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা সিরাজুলকে আটকের পর কুপিয়ে হত্যা করে বলে তাই ভাই অভিযোগ করেছেন।
অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিএসএফ বিজিবিকে বলছে, স্থানীয় গ্রামবাসীর মারপিটে সিরাজুলের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে সিরাজুলসহ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে গরু আনতে যান।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে গরু নিয়ে দেশে ফেরার পথে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার ছোট বাঁকড়া নামক স্থানে পৌঁছালে কৈজুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা সিরাজুলকে আটক করে বলে স্থানীয়রা জানায়।
৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বৈকারি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম জানান, সিরাজুল হত্যার পর তাৎক্ষণিকভাবে বিএসএফকে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়।
ব্যাটালিয়নের অপারেশন কর্মকর্তা (অপস) মেজর হারুন অর রশিদ বলেন, “বিএসএফ বলছে, তারা সিরাজুলকে মারেনি। সীমান্তে ভারতীয় অধিবাসীদের মারপিটে তার মৃত্যু হয়েছে।”
তবে নিহতের বড় ভাই বৈকারি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএসএফ সদস্যরা তার ভাইকে আটকের পর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে।
সিরাজুলের এক মেয়ে ও দুটি ছেলে রয়েছে। ভাইয়ের মৃতদেহ ফেরত পেতে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন সাইফুল।
৬শ’ সন্তানের পিতা!
নিজের ফার্টাইলিটি ক্লিনিকে
স্পার্ম দান করে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী বার্টল্ড উয়িসনার প্রায় ৬শ’ সন্তানের
পিতা হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত শতকের ’৪০-’৬০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে লন্ডনভিত্তিক বার্টন ক্লিনিকে স্পার্ম দান করে প্রায় ১৫শ’ সন্তান ধারণে সহায়তা করেন নারীদের।
দ্য ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কনাডার ব্যারি স্টিভেন্স ও লন্ডনের আইনজীবী ডেভিড গোলডনজ বার্টল্ডকে তাদের জৈবিক পিতা হিসেবে আবিষ্কারের পর তাকে ৬শ’ সন্তানের পিতা হিসেবে দাবি করেন।
ব্যারি ও ডেভিড এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী আরো ১৮ ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন যাদের ১২ জনেরই (দুই তৃতীয়াংশ) জৈবিক পিতাও একই ব্যক্তি। আর এ ফলাফলের ভিত্তিতে বার্টল্ড ৬শ’ সন্তানের পিতা বলে দাবি করেছেন ব্যারি ও ডেভিড।
দ্য সানডে টাইমস সংবাদপত্রকে ডেভিড বলেন, “সাধারণ একটা হিসেব হলো, বার্টল্ড হয়ত প্রতি বছর ২০ বার স্পার্ম দান করেছেন। যমজ শিশু ও গর্ভপাতের ঘটনাসহ জীবিত শিশুর হিসেব করলে আমার মনে হয়, তিনি ৩শ’-৬শ’ শিশুর পিতা।”
আর তাদের এ দাবি সত্য প্রমাণিত হলে বার্টল্ডই এক্ষেত্রে নতুন রেকর্ডধারী হবেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সম্প্রতি সর্বাধিক ১৫০ শিশুর পিতা হিসেবে আমেরিকার অজ্ঞাত এক স্পার্ম দাতার নাম উঠে এসেছে এ তালিকায়।
হাসপাতালটির প্রাথমিক ডোনারদের মধ্যে অন্যতম বার্টল্ড ১৯৭২ সালে মারা যান।
গত শতকের ’৪০-’৬০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে লন্ডনভিত্তিক বার্টন ক্লিনিকে স্পার্ম দান করে প্রায় ১৫শ’ সন্তান ধারণে সহায়তা করেন নারীদের।
দ্য ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কনাডার ব্যারি স্টিভেন্স ও লন্ডনের আইনজীবী ডেভিড গোলডনজ বার্টল্ডকে তাদের জৈবিক পিতা হিসেবে আবিষ্কারের পর তাকে ৬শ’ সন্তানের পিতা হিসেবে দাবি করেন।
ব্যারি ও ডেভিড এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী আরো ১৮ ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন যাদের ১২ জনেরই (দুই তৃতীয়াংশ) জৈবিক পিতাও একই ব্যক্তি। আর এ ফলাফলের ভিত্তিতে বার্টল্ড ৬শ’ সন্তানের পিতা বলে দাবি করেছেন ব্যারি ও ডেভিড।
দ্য সানডে টাইমস সংবাদপত্রকে ডেভিড বলেন, “সাধারণ একটা হিসেব হলো, বার্টল্ড হয়ত প্রতি বছর ২০ বার স্পার্ম দান করেছেন। যমজ শিশু ও গর্ভপাতের ঘটনাসহ জীবিত শিশুর হিসেব করলে আমার মনে হয়, তিনি ৩শ’-৬শ’ শিশুর পিতা।”
আর তাদের এ দাবি সত্য প্রমাণিত হলে বার্টল্ডই এক্ষেত্রে নতুন রেকর্ডধারী হবেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সম্প্রতি সর্বাধিক ১৫০ শিশুর পিতা হিসেবে আমেরিকার অজ্ঞাত এক স্পার্ম দাতার নাম উঠে এসেছে এ তালিকায়।
হাসপাতালটির প্রাথমিক ডোনারদের মধ্যে অন্যতম বার্টল্ড ১৯৭২ সালে মারা যান।
I wish if i can joine with them .উৎসবে মেতেছে পাহাড়
বৃহস্পতিবার ভোরে চাকমা রীতিতে নদীতে ফুল ভাসিয়ে অর্থাৎ, ফুলবিজু দিয়ে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুক্রবার মারমাদের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা সংগ্রাইয়ে মেতে উঠবে পাহাড়ি জনপদ। ত্রিপুরাদের হাড়িবৈসু উৎসবও এদিনই শুরু হবে। পাহাড়ি সব স¤প্রদায়ের নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৪ এপ্রিল শেষ হবে বৈসাবি। বাংলা বর্ষের শেষ দুদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন এই উৎসব পালন করে পাহাড়িরা। ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব বৈসু, মারমাদের অনুষ্ঠান সাংগ্রাই এবং চাকমাদের উৎসব বিজু নামে পরিচিত। এই তিন স¤প্রদায়ের উৎসব মিলিয়েই পাহাড়ের বর্ষবরণ উৎসবের নাম হয়েছে ‘বৈ-সা-বি’। পাহাড়ের বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এই উৎসবে মিলতে প্রতিবছর সমতল থেকেও ছুটে আসেন পর্যটকরা। উৎসব ঘিরে প্রতিটি পাহাড়ি ঘরে তৈরি হয় রকমারি খাবার। মাকুতে বোনা হয় নতুন কাপড়। উৎসব সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে প্রতিটি পার্বত্য জেলায় গঠন করা হয়েছে বৈসাবি উৎসব উদযাপন কমিটি। পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ছয়জন বিশিষ্ট পাহাড়িকে সংবর্ধনা দেবে উদযাপন কমিটি। এরা হলেন- বীর কুমার তংচংগ্যা, মাধবীলতা চাকমা, বিনয় কুমার দেওয়ান, অনঙ্গলতা চাকমা, নির্মলেন্দু ত্রিপুরা ও জয়শ্রী রায়। খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণেও উৎসবের তিনদিন নানা অনুষ্ঠান চলবে। . |
|
Wednesday, April 11, 2012
This are our country leader .
রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছিলেন, তিনি রেলের ‘কালো বিড়াল’ খুঁঁজে বের করবেন। টাকাসহ তাঁর এপিএসের গাড়ি আটকের খবরে অনেক পাঠক এখন রেলমন্ত্রীকেই সেই কালো বিড়াল বলে মন্তব্য করেছেন
‘আচ্ছা, আপনি নিজেই তাহলে সেই কালো বিড়াল? ন্যূনতম লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করুন।’ ‘রেলমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ চাই। সভ্য সমাজে, সভ্য দেশে এটাই রীতি।’
প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে এই মন্তব্য দুটি করেছেন আলী হাসান ও আবদুল হালিম মিয়া। কেবল এ দুজনই নন, শত শত পাঠক গতকাল এ ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। টাকাসহ মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আটকের ঘটনার জন্য তাঁরা সবাই মন্ত্রীকেই দুষেছেন। ‘রেলমন্ত্রীর এপিএসের গাড়ি হঠাৎ পিলখানায়’ শিরোনামে গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। রাত পৌনে নয়টা পর্যন্ত সংবাদটিতে মন্তব্য পড়েছে ৭৮০টি। প্রায় সবাই এ ঘটনার জন্য মন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ পাঠক মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। পাঠকদের আরেক অংশ সুরঞ্জিতকেই ‘রেলের কালো বিড়াল’ বলে মন্তব্য করেছেন। অনেকে উদ্বিগ্ন গাড়িচালক আজম খানের নিরাপত্তা নিয়েও।
‘কালো বিড়াল’: রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছিলেন, তিনি রেলের কালো বিড়াল খুঁঁজে বের করবেন। গতকাল অনেক পাঠক এই কালো বিড়াল নিয়েই মন্তব্য করেছেন।
এ কে এম বদরুদোজ্জা লিখেছেন, ‘বিড়ালের লেজ কাটা গেছে। বিড়ালের যদি লজ্জাশরম থাকে, তবে সে আর শুঁটকি খাবে না।’
এন ইসলাম নামের এক পাঠক লিখেছেন, ‘এই হলো কালো বিড়াল। সব জলের মতো পরিষ্কার।’ রুবেল আহমেদ মন্তব্য করেছেন, ‘শুঁটকির হাটে বিড়াল চৌকিদার হলে যা হয় আর কি।’ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘রেলের কালো বিড়াল ধরতে গিয়ে থলের বিড়াল বের হয়ে গেছে!’
রহমতউল্লাহ সরকার বলেছেন, ‘অবশেষে বের হলো আমাদের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের কালো বিড়াল!’ বাবুল লিখেছেন, ‘আবোলতাবোল বুঝিয়ে কোনো লাভ হবে না, সব জলের মতো পরিষ্কার। দেখা যাক সরকার কী ব্যবস্থা নেয়।’
রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সরষের মধ্যে ভূত আর এই ঘটনার মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না।’ জামান লিখেছেন, ‘যতই চেষ্টা করুন না কেন, থলের বিড়াল তিনি আর ঢাকতে পারবেন না। ওটা আজ বের হয়েছে, কাল না হয় পরশু ওটা মুখও খুলবে।’
মোহাম্মদ রহমান বলেছেন, ‘কালো বিড়াল এত কাছে তবু ধরা যায় না!’ জারিস তালুকদার বলেন, ‘শুঁটকির বাজারে বিড়াল চৌকিদার!’ মাহফুজা বুলবুল লিখেছেন, ‘এই আমাদের রেলমন্ত্রী! তাঁর কোর্তার নিচেই কালো বিড়াল! তিনি দেশ তোলপাড় করে কালো বিড়াল খুঁজছেন!’
ফেরদৌস ইপন লিখেছেন, ‘একেই যেন বলে, চোরের দশ দিন আর গৃহস্থের এক দিন।’ মোহন খান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের কালো বিড়াল এখন মন্ত্রী সুরঞ্জিতের গাড়িতে!!!! আশা করি প্রধানমন্ত্রী এই টাকার ব্যাপারে তাঁর মূল্যবান বাণী দেবেন।’
কুলসুম আল নজরুল বলেন, ‘কালো বিড়াল গাড়িতে। বাংলাদেশের প্রথম রেলমন্ত্রীর বাড়িতে বস্তায় ভরে গাড়িতে করে টাকা নেবার পথে এপিএসসহ রেল কর্মকতারা আটক।’
তোফাজ্জল ইসলাম লিখেছেন, ‘শুঁটকির হাটে বিড়াল চৌকিদার। বঙ্গবন্ধু ঠিকই বলেছেন, “সবাই পায় সোনার খনি, আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।”’
সুরঞ্জিতের পদত্যাগ দাবি: পাঠকেরা মনে করেন, এ ঘটনার সঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের যোগসাজশ আছে। তাই অনেক পাঠকই সরাসরি রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
মোহাম্মদ মুকুল লিখেছেন, ‘মন্ত্রীজী, আর লেকচারবাজির দরকার নেই। পদত্যাগ করুন।’ আবদুল মালেক লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষকে চাকরি দেওয়ার নামে কমিশন-বাণিজ্য। আর এ কমিশন মন্ত্রী সুরঞ্জিতের জন্য!!! দাদা, তোমার লজ্জা থাকা উচিত। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।’
এম আলাম অভি লিখেছেন, ‘রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। শুধু রেলমন্ত্রীর কমিটি না, সরকার ও দুদক থেকে কমিটি হওয়া চাই।’ সওগাত হোসেন লিখেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’ চৌধুরী লিখেছেন, ‘আপনার বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ থাকে তো, আজই পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগকে তথা পুরো জাতিকে এই লজ্জা থেকে বাঁচান।’
মাহবুব আলম লিখেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেন। উনি মনে করেন, উনিই সবচেয়ে চালাক আর সবাই বোকা। তাঁর মিথ্যাচারই প্রমাণ করে, উনি কত বড় চোর এবং দুর্নীতিবাজ...।’
হতাশা: সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো সাংসদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠবে এমন আশা করেননি অনেক পাঠক। তাঁরা তাঁদের হতাশাও প্রকাশ করেছেন।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, তাহলে আপনার নীতিকথাগুলোও লোক দেখানো ছিল!’ আশফাকুল আরফিন লিখেছেন, ‘খুব আশাহত হলাম, আমি আসলেই ভাবতাম, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একজন সৎ রাজনীতিবিদ।’
স্বাগত লিখেছেন, ‘শেষে কিনা দাদাও! আশা করি অচিরেই দাদা একটি ব্যাংকের মালিক হয়ে যাবেন।’ আশরাফুল আলম লিখেছেন, ‘সব মন্ত্রী এক রকম। শুধু মুখে বড় বড় কথা বলা। আসলে সব ভেজাল...।’ পঙ্কজ নাথ লিখেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এখন রসিয়ে রসিয়ে ক্যারিকেচার করে কী গল্প বলেন, তা-ই দেখার বিষয়।’ ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমরাই খারাপ। আবারও এই চোরদেরকেই ভোট দেব।’
নিয়োগ-বাণিজ্যের টাকা: এপিএস ফারুক দাবি করেছেন, গাড়িতে থাকা ৩০ লাখ টাকা তাঁর ব্যক্তিগত। তবে পাঠকেরা মনে করেন, এটি নিয়োগ-বাণিজ্যের টাকা। মন্ত্রীকে ঘুষ দিতেই এই টাকা নেওয়া হচ্ছিল।
শামীম আহসান লিখেছেন, ‘৭০ লাখ টাকা নিয়ে রাত ১১টায় লোকজন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যায়। ঘটনা পানির মতো পরিষ্কার। রেলওয়েতে বর্তমানে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের সাত হাজার পদে নিয়োগ চলছে। সুতরাং এ টাকা কার, কিসের জন্য, তা দেশবাসীকে আর বলে বোঝাতে হবে না।’
মাহতাব হোসাইন বলেন, ‘যে যায় লঙ্কায়, সে-ই হয় হনুমান!’ পারভেজ বলেছেন, ‘নিয়োগ-বাণিজ্যের টাকা লেনদেন।’ হাসান আল মাহমুদ লিখেছেন, ‘ভালোই চলছে টাকার পাহাড় গড়ার খেলা।’
মুনতাসির লিখেছেন, ‘এত বড় একটা নিয়োগ হচ্ছে, নিয়োগ-বাণিজ্যের টাকা কতজনেই তো খাচ্ছে!! মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের ভাগটা কেন যাবে না?’ হাসান রাজু লিখেছেন, ‘নাম না জানা একচোখা সমাজের অন্ধ স্বভাবের মানুষ ছাড়া সবাই বুঝতে পারছে কী ঘটেছে।’ মোহাম্মদ নবী লিখেছেন, ‘সরকার কি দয়া করে সুরঞ্জিতের নামে নতুন ব্যাংক বরাদ্দ দেবেন?’
আসিফ ইকবাল লিখেছেন, ‘এ রকম কুখ্যাত মন্ত্রী ও মন্ত্রীর এপিএস সরকারে থাকলে দেশের বারোটা না বেজে পারেই না। চোরের মুখে ধর্মের কথা।’ ইশতিয়াক বলেছেন, ‘ঘটনার কলাকুশলীরা সবাই হাতের নাগালে। একেকজন একের কথা বলছেন। তবে আমার যা মেলানোর, মিলিয়ে নিয়েছি।’ কামরুজ্জামান লিখেছেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী, বুদ্ধিমান বিবেকবান মানুষ সহজেই বুঝতে পারে কী ঘটছে।’
মন্ত্রীর বাসায় যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন: রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) ইউসুফ আলী মৃধা ও এপিএস ফারুক বলেছেন, তাঁরা রাত ১১টার দিকে রেলের একটি বিষয় নিয়ে পরামর্শ করতে যাচ্ছিলেন। তবে সবাই এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মামুন আহমেদ লিখেছেন, ‘আমরা সবই বুঝি, সব বুঝি।’ মাহমুদ লিখেছেন, ‘৭০ লাখ টাকা নিয়ে এত রাতে মন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার কারণ বুঝতে কি বিজ্ঞানী হওয়া লাগবে?’ নাজমুল হুদা লিখেছেন, ‘পুরোটাই যেন বায়োস্কোপ। বাংলা সিনেমার মতো জনগণ এখনই বলে দিতে পারে, এর ফলাফল কী হবে।’ মামুন আহমেদ লিখেছেন, ‘গভীর রাতে মন্ত্রীর বাসায় মিটিং? আমরা সবই বুঝি।’
নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘এপিএস ও রেল কর্মকর্তা আটকের পর থেকে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে বেশ বিমর্ষ ও মলিন দেখা যায়। সংবাদ সম্মেলনেও তার স্বভাবসুলভ অঙ্গ ও মুখভঙ্গি দেখা যায়নি। কথার ফাঁকে ফাঁকে হাসি দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা স্বল্প সময়ের মধ্যে মিলিয়ে যেতে দেখা গেছে।’
বিচারের দাবি: এপিএসের গাড়িতে এত টাকা থাকা এবং এই ঘটনার সঙ্গে মন্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা খুঁজে দেখার দাবি জানিয়েছে অনেক পাঠক। সাকী রহমতউল্লাহ লিখেছেন, ‘দুদকের চেয়ারম্যান মহোদয়, আপনি তো বিরোধী দলের ওপর আপনার যত ক্ষমতা আছে তা প্রয়োগ করছেন, এবার কি জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নেওয়া বেতন-ভাতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন?’
সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে নাজিম আহমেদ লিখেছেন, ‘বড় চোরের সহকারী চোরেরা ধরা পড়েছে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবার যা-ই বলেন না কেন, তিনি ধরা খেয়ে গেছেন। পুলিশদের উচিত হবে মন্ত্রীসহ সবাইকে ধরে বিচারের মাধ্যমে ওদের মুখোশ খুলে দেওয়া।’
চালকের নিরাপত্তা দাবি: অনেক পাঠকই এপিএস ওমর ফারুকের গাড়িচালক আজম খানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। জুবায়ের নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘বোঝাই যাচ্ছে, এখানে একমাত্র গাড়িচালক সত্য কথা বলছেন। কেউ ছিনতাই করার জন্য পিলখানায় ঢোকে? হাস্যকর। বেচারা ড্রাইভারের জন্য মায়া, তাঁকে এই আমলারা এখন শেষ করে দেবেন।’
জাওয়াদ মন্তব্য করেছেন, ‘কোনো বিচার হবে না জানি। যত দোষ ওই ড্রাইভারের। ওকে রিমান্ডে নিয়ে বাপ-দাদাসহ সব পূর্বপূরুষের নাম ভুলিয়ে দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হবে যে, সেই টাকা ছিনতাই করতেই গাড়ি বিজিবির সদর দপ্তরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল।’
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন লিখেছেন, ‘অবিলম্বে গাড়িচালক আজমের মুক্তি দাবি করছি এবং তাঁকে সরাসরি টেলিভিশনের মাধ্যমে তাঁর বক্তব্য প্রচার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। বাকি তিনজনকে আইনি হেফাজতে নেওয়া হোক।’
নাসির উদ্দিন লিখেছেন, ‘গাড়িচালক আজমের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও আমরা চিন্তিত। সত্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তাঁর কণ্ঠকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ারও ষড়যন্ত্র হতে পারে।’
বাহার উদ্দিন ভুঁইয়া লিখেছেন, ‘আমি চিন্তা করছি বেচারা ড্রাইভারের জন্য। কারণ, তাঁকে তো তদন্তের নামে রিমান্ডে নিয়ে মেরে ফেলা হবে, যেন সত্য কোনো দিন প্রকাশ না পায়। সুতরাং তাঁকে কীভাবে বাঁচানো যায়, সবাই তা নিয়ে চিন্তা করেন।’
‘আচ্ছা, আপনি নিজেই তাহলে সেই কালো বিড়াল? ন্যূনতম লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করুন।’ ‘রেলমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ চাই। সভ্য সমাজে, সভ্য দেশে এটাই রীতি।’
প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে এই মন্তব্য দুটি করেছেন আলী হাসান ও আবদুল হালিম মিয়া। কেবল এ দুজনই নন, শত শত পাঠক গতকাল এ ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। টাকাসহ মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আটকের ঘটনার জন্য তাঁরা সবাই মন্ত্রীকেই দুষেছেন। ‘রেলমন্ত্রীর এপিএসের গাড়ি হঠাৎ পিলখানায়’ শিরোনামে গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। রাত পৌনে নয়টা পর্যন্ত সংবাদটিতে মন্তব্য পড়েছে ৭৮০টি। প্রায় সবাই এ ঘটনার জন্য মন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ পাঠক মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। পাঠকদের আরেক অংশ সুরঞ্জিতকেই ‘রেলের কালো বিড়াল’ বলে মন্তব্য করেছেন। অনেকে উদ্বিগ্ন গাড়িচালক আজম খানের নিরাপত্তা নিয়েও।
‘কালো বিড়াল’: রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছিলেন, তিনি রেলের কালো বিড়াল খুঁঁজে বের করবেন। গতকাল অনেক পাঠক এই কালো বিড়াল নিয়েই মন্তব্য করেছেন।
এ কে এম বদরুদোজ্জা লিখেছেন, ‘বিড়ালের লেজ কাটা গেছে। বিড়ালের যদি লজ্জাশরম থাকে, তবে সে আর শুঁটকি খাবে না।’
এন ইসলাম নামের এক পাঠক লিখেছেন, ‘এই হলো কালো বিড়াল। সব জলের মতো পরিষ্কার।’ রুবেল আহমেদ মন্তব্য করেছেন, ‘শুঁটকির হাটে বিড়াল চৌকিদার হলে যা হয় আর কি।’ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘রেলের কালো বিড়াল ধরতে গিয়ে থলের বিড়াল বের হয়ে গেছে!’
রহমতউল্লাহ সরকার বলেছেন, ‘অবশেষে বের হলো আমাদের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের কালো বিড়াল!’ বাবুল লিখেছেন, ‘আবোলতাবোল বুঝিয়ে কোনো লাভ হবে না, সব জলের মতো পরিষ্কার। দেখা যাক সরকার কী ব্যবস্থা নেয়।’
রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সরষের মধ্যে ভূত আর এই ঘটনার মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না।’ জামান লিখেছেন, ‘যতই চেষ্টা করুন না কেন, থলের বিড়াল তিনি আর ঢাকতে পারবেন না। ওটা আজ বের হয়েছে, কাল না হয় পরশু ওটা মুখও খুলবে।’
মোহাম্মদ রহমান বলেছেন, ‘কালো বিড়াল এত কাছে তবু ধরা যায় না!’ জারিস তালুকদার বলেন, ‘শুঁটকির বাজারে বিড়াল চৌকিদার!’ মাহফুজা বুলবুল লিখেছেন, ‘এই আমাদের রেলমন্ত্রী! তাঁর কোর্তার নিচেই কালো বিড়াল! তিনি দেশ তোলপাড় করে কালো বিড়াল খুঁজছেন!’
ফেরদৌস ইপন লিখেছেন, ‘একেই যেন বলে, চোরের দশ দিন আর গৃহস্থের এক দিন।’ মোহন খান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের কালো বিড়াল এখন মন্ত্রী সুরঞ্জিতের গাড়িতে!!!! আশা করি প্রধানমন্ত্রী এই টাকার ব্যাপারে তাঁর মূল্যবান বাণী দেবেন।’
কুলসুম আল নজরুল বলেন, ‘কালো বিড়াল গাড়িতে। বাংলাদেশের প্রথম রেলমন্ত্রীর বাড়িতে বস্তায় ভরে গাড়িতে করে টাকা নেবার পথে এপিএসসহ রেল কর্মকতারা আটক।’
তোফাজ্জল ইসলাম লিখেছেন, ‘শুঁটকির হাটে বিড়াল চৌকিদার। বঙ্গবন্ধু ঠিকই বলেছেন, “সবাই পায় সোনার খনি, আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।”’
সুরঞ্জিতের পদত্যাগ দাবি: পাঠকেরা মনে করেন, এ ঘটনার সঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের যোগসাজশ আছে। তাই অনেক পাঠকই সরাসরি রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
মোহাম্মদ মুকুল লিখেছেন, ‘মন্ত্রীজী, আর লেকচারবাজির দরকার নেই। পদত্যাগ করুন।’ আবদুল মালেক লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষকে চাকরি দেওয়ার নামে কমিশন-বাণিজ্য। আর এ কমিশন মন্ত্রী সুরঞ্জিতের জন্য!!! দাদা, তোমার লজ্জা থাকা উচিত। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।’
এম আলাম অভি লিখেছেন, ‘রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। শুধু রেলমন্ত্রীর কমিটি না, সরকার ও দুদক থেকে কমিটি হওয়া চাই।’ সওগাত হোসেন লিখেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’ চৌধুরী লিখেছেন, ‘আপনার বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ থাকে তো, আজই পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগকে তথা পুরো জাতিকে এই লজ্জা থেকে বাঁচান।’
মাহবুব আলম লিখেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেন। উনি মনে করেন, উনিই সবচেয়ে চালাক আর সবাই বোকা। তাঁর মিথ্যাচারই প্রমাণ করে, উনি কত বড় চোর এবং দুর্নীতিবাজ...।’
হতাশা: সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো সাংসদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠবে এমন আশা করেননি অনেক পাঠক। তাঁরা তাঁদের হতাশাও প্রকাশ করেছেন।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, তাহলে আপনার নীতিকথাগুলোও লোক দেখানো ছিল!’ আশফাকুল আরফিন লিখেছেন, ‘খুব আশাহত হলাম, আমি আসলেই ভাবতাম, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একজন সৎ রাজনীতিবিদ।’
স্বাগত লিখেছেন, ‘শেষে কিনা দাদাও! আশা করি অচিরেই দাদা একটি ব্যাংকের মালিক হয়ে যাবেন।’ আশরাফুল আলম লিখেছেন, ‘সব মন্ত্রী এক রকম। শুধু মুখে বড় বড় কথা বলা। আসলে সব ভেজাল...।’ পঙ্কজ নাথ লিখেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এখন রসিয়ে রসিয়ে ক্যারিকেচার করে কী গল্প বলেন, তা-ই দেখার বিষয়।’ ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমরাই খারাপ। আবারও এই চোরদেরকেই ভোট দেব।’
নিয়োগ-বাণিজ্যের টাকা: এপিএস ফারুক দাবি করেছেন, গাড়িতে থাকা ৩০ লাখ টাকা তাঁর ব্যক্তিগত। তবে পাঠকেরা মনে করেন, এটি নিয়োগ-বাণিজ্যের টাকা। মন্ত্রীকে ঘুষ দিতেই এই টাকা নেওয়া হচ্ছিল।
শামীম আহসান লিখেছেন, ‘৭০ লাখ টাকা নিয়ে রাত ১১টায় লোকজন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যায়। ঘটনা পানির মতো পরিষ্কার। রেলওয়েতে বর্তমানে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের সাত হাজার পদে নিয়োগ চলছে। সুতরাং এ টাকা কার, কিসের জন্য, তা দেশবাসীকে আর বলে বোঝাতে হবে না।’
মাহতাব হোসাইন বলেন, ‘যে যায় লঙ্কায়, সে-ই হয় হনুমান!’ পারভেজ বলেছেন, ‘নিয়োগ-বাণিজ্যের টাকা লেনদেন।’ হাসান আল মাহমুদ লিখেছেন, ‘ভালোই চলছে টাকার পাহাড় গড়ার খেলা।’
মুনতাসির লিখেছেন, ‘এত বড় একটা নিয়োগ হচ্ছে, নিয়োগ-বাণিজ্যের টাকা কতজনেই তো খাচ্ছে!! মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের ভাগটা কেন যাবে না?’ হাসান রাজু লিখেছেন, ‘নাম না জানা একচোখা সমাজের অন্ধ স্বভাবের মানুষ ছাড়া সবাই বুঝতে পারছে কী ঘটেছে।’ মোহাম্মদ নবী লিখেছেন, ‘সরকার কি দয়া করে সুরঞ্জিতের নামে নতুন ব্যাংক বরাদ্দ দেবেন?’
আসিফ ইকবাল লিখেছেন, ‘এ রকম কুখ্যাত মন্ত্রী ও মন্ত্রীর এপিএস সরকারে থাকলে দেশের বারোটা না বেজে পারেই না। চোরের মুখে ধর্মের কথা।’ ইশতিয়াক বলেছেন, ‘ঘটনার কলাকুশলীরা সবাই হাতের নাগালে। একেকজন একের কথা বলছেন। তবে আমার যা মেলানোর, মিলিয়ে নিয়েছি।’ কামরুজ্জামান লিখেছেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী, বুদ্ধিমান বিবেকবান মানুষ সহজেই বুঝতে পারে কী ঘটছে।’
মন্ত্রীর বাসায় যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন: রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) ইউসুফ আলী মৃধা ও এপিএস ফারুক বলেছেন, তাঁরা রাত ১১টার দিকে রেলের একটি বিষয় নিয়ে পরামর্শ করতে যাচ্ছিলেন। তবে সবাই এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মামুন আহমেদ লিখেছেন, ‘আমরা সবই বুঝি, সব বুঝি।’ মাহমুদ লিখেছেন, ‘৭০ লাখ টাকা নিয়ে এত রাতে মন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার কারণ বুঝতে কি বিজ্ঞানী হওয়া লাগবে?’ নাজমুল হুদা লিখেছেন, ‘পুরোটাই যেন বায়োস্কোপ। বাংলা সিনেমার মতো জনগণ এখনই বলে দিতে পারে, এর ফলাফল কী হবে।’ মামুন আহমেদ লিখেছেন, ‘গভীর রাতে মন্ত্রীর বাসায় মিটিং? আমরা সবই বুঝি।’
নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘এপিএস ও রেল কর্মকর্তা আটকের পর থেকে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে বেশ বিমর্ষ ও মলিন দেখা যায়। সংবাদ সম্মেলনেও তার স্বভাবসুলভ অঙ্গ ও মুখভঙ্গি দেখা যায়নি। কথার ফাঁকে ফাঁকে হাসি দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা স্বল্প সময়ের মধ্যে মিলিয়ে যেতে দেখা গেছে।’
বিচারের দাবি: এপিএসের গাড়িতে এত টাকা থাকা এবং এই ঘটনার সঙ্গে মন্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা খুঁজে দেখার দাবি জানিয়েছে অনেক পাঠক। সাকী রহমতউল্লাহ লিখেছেন, ‘দুদকের চেয়ারম্যান মহোদয়, আপনি তো বিরোধী দলের ওপর আপনার যত ক্ষমতা আছে তা প্রয়োগ করছেন, এবার কি জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নেওয়া বেতন-ভাতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন?’
সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে নাজিম আহমেদ লিখেছেন, ‘বড় চোরের সহকারী চোরেরা ধরা পড়েছে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবার যা-ই বলেন না কেন, তিনি ধরা খেয়ে গেছেন। পুলিশদের উচিত হবে মন্ত্রীসহ সবাইকে ধরে বিচারের মাধ্যমে ওদের মুখোশ খুলে দেওয়া।’
চালকের নিরাপত্তা দাবি: অনেক পাঠকই এপিএস ওমর ফারুকের গাড়িচালক আজম খানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। জুবায়ের নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘বোঝাই যাচ্ছে, এখানে একমাত্র গাড়িচালক সত্য কথা বলছেন। কেউ ছিনতাই করার জন্য পিলখানায় ঢোকে? হাস্যকর। বেচারা ড্রাইভারের জন্য মায়া, তাঁকে এই আমলারা এখন শেষ করে দেবেন।’
জাওয়াদ মন্তব্য করেছেন, ‘কোনো বিচার হবে না জানি। যত দোষ ওই ড্রাইভারের। ওকে রিমান্ডে নিয়ে বাপ-দাদাসহ সব পূর্বপূরুষের নাম ভুলিয়ে দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হবে যে, সেই টাকা ছিনতাই করতেই গাড়ি বিজিবির সদর দপ্তরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল।’
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন লিখেছেন, ‘অবিলম্বে গাড়িচালক আজমের মুক্তি দাবি করছি এবং তাঁকে সরাসরি টেলিভিশনের মাধ্যমে তাঁর বক্তব্য প্রচার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। বাকি তিনজনকে আইনি হেফাজতে নেওয়া হোক।’
নাসির উদ্দিন লিখেছেন, ‘গাড়িচালক আজমের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও আমরা চিন্তিত। সত্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তাঁর কণ্ঠকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ারও ষড়যন্ত্র হতে পারে।’
বাহার উদ্দিন ভুঁইয়া লিখেছেন, ‘আমি চিন্তা করছি বেচারা ড্রাইভারের জন্য। কারণ, তাঁকে তো তদন্তের নামে রিমান্ডে নিয়ে মেরে ফেলা হবে, যেন সত্য কোনো দিন প্রকাশ না পায়। সুতরাং তাঁকে কীভাবে বাঁচানো যায়, সবাই তা নিয়ে চিন্তা করেন।’
ধূমপানের কারণে শাহরুখের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ
ধূমপানের কারণে শাহরুখের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ | ||||
|
জয়পুর ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক আনন্দ সিং রাঠোরের পক্ষে তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন বলে এনডিটিভি জানায়।
অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ১২ এপ্রিল এ অভিযোগের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
রোববার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রাজস্থান রয়্যালস ও শাহরুখের মালিকানাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ চলাকালে তিনি প্রকাশ্যে ধূমপান করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
নিম সিং বলেন, “২০০০ সাল থেকে রাজস্থানে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও কয়েক হাজার দর্শকের সামনে শাহরুখ খান ধূমপান করছিলেন। আর ধূমপানের সময় টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি দেখানো হচ্ছিলো তাকে।”
Funny
Santos Laguna defender Felipe Baloy is more than happy
to pose with fans of all ages, even if he just stopped off to buy the
newest issue of Playboy. And when a young fan in Velcro shoes and a full
Santos kit wanted a picture with Baloy, the Panamanian international
kindly knelt down, smiled and accidentally held his transparent bag
containing the Playboy in for the picture.
Of course, there was no harm done and it was very nice of Baloy to
make a young fan's day by stopping and smiling for the shot, but the
child will probably appreciate the amusing photo even more when he's a
little older.Currently in first place in the Mexican Clausura, Santos plays Club America at the Estadio Azteca on Saturday before playing Monterrey in the first leg of the CONCACAF Champions League final next week. And the accommodating Baloy clearly has his reading material ready for the difficult stretch ahead.
Tuesday, April 10, 2012
Is This is done bay a ma or anything elas ? An animal also can't do something like that .
বুধবার গভীর রাতে জামালপুর স্টেশনে ঢাকা থেকে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে ওই কার্টনটি পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটির লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে জামালপুর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে গতকাল সোমবার ওই কবরস্থান থেকে তার লাশ তুলে ঢাকায় আনা হয়। সন্ধ্যায় লাশ ঢাকার কাওলা আমবাগ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। দাফনের সময় এলাকায় মানুষের ঢল নামে। সবাই হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করে।
গতকাল সন্ধ্যায় নিহত জান্নাতুল ফেরদৌসদের আশকোনার ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায় মানুষের ভিড়। মেয়েটির মা রুনা বেগম বিছানায় বসে আছেন। ছোট বোনকে দাফন করে ফিরে এলেন বড় ভাই কামরুজ্জামান। তাঁকে জড়িয়ে ধরে মা আবেগাপ্লুত হয়ে বলতে থাকেন, ‘বাবা রে, বোনডারে তো ফিরায়া আনতি পারলি না।’ মায়ের চোখে পানি নেই। শুধু ক্ষোভ। তিনি বলেন, ‘বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে জান্নাতুলের হাতে কয়েকটি চকলেট আর ১৫ টাকা দেখে ধমক দিয়ে বলি, এগুলো কে দিয়েছে? জান্নাতুল বলে, চারতলার আরিফ তাকে কিনতে দিয়েছে। আমি ধমক দিয়ে বলি, যা, তাড়াতাড়ি দিয়ে আয়। আর পাঁচতলার ছাদ থেকে কাপড় নামিয়ে আনিস। জান্নাতুল ছাদ থেকে কাপড়গুলো এনে রেখেছে ঠিকই। কিন্তু এর পর থেকে সে লাপাত্তা।’
রুনা বেগম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মেয়ের খোঁজে যান চারতলায় আরিফের ফ্ল্যাটে। অপরিচিত দুই যুবক দরজা সামান্য ফাঁকা করে তাঁকে জানিয়ে দেন, জান্নাতুল এখানে নেই। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও মেয়েকে না পেয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জান্নাতুলের বাবা উত্তরা মডেল স্কুলের শিক্ষক মোশাররফ হোসেন। রুনা বেগম বলেন, ‘বুধবার সারা রাইত দরজা খুইলে বইসা ছিলাম। যদি আমার মায় আসে। কিন্তু শয়তানগুলা আমার মায়েরে সন্ধ্যার ট্রেনেই তুইলে দিছিল।’
শুক্রবার পত্রিকার সংবাদ ও ছবি দেখে জান্নাতুল ফেরদৌসের লাশ শনাক্ত করে জামালপুর রেলওয়ে থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্বজনেরা। শুক্রবার রাতেই রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঢাকায় এসে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন বাড়ির মালিকের ছেলে কাজী মহিউদ্দিন মোহন (২৮) ও চারতলার ভাড়াটে আরিফ বিল্লাহ (২৫)।
ওসি শাকের আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, পলিথিনে পেঁচিয়ে শিশুটির লাশ জোড়া লাগানো দুটি কার্টনের ভেতরে ঢোকানো হয়েছিল। চাপ দিয়ে ঘাড় ভেঙে বুকের কাছে আনা হয়েছে, পা দুটি শিশুটিরই সালোয়ার দিয়ে বেঁধে ঘাড়ের ওপরে ওঠানো হয়েছে, মুখও ছিল বাঁধা। মৃত্যুর আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
ওসি বলেন, আরিফের ফ্ল্যাটে গিয়ে চকলেট, কার্টনের ওপরে লেখার সাইন পেন, পলিথিন, কাগজের টুকরো পাওয়া যায়। এতে পুলিশ নিশ্চিত হয়, ঘটনার সঙ্গে আরিফ বিল্লাহ জড়িত ছিলেন। এরপর পুলিশ ওই বাড়ির মালিকের ছেলে আরিফের বন্ধু মোহনকেও গ্রেপ্তার করে। ওসি জানান, তাঁদের এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাঁদের ১১ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার রিমান্ডের শুনানি হবে।
Is this is rule of the world ? The people who want to do something better for all ,want to help us to show the way of life ,why we don't want to help him out from his bad time .whay whay? We are the people can't think anythig without about own .
শেষ
পর্যন্ত আত্মহননের পথই বেছে নিলেন বিচিন্তা সম্পাদক মিনার মাহমুদ। গত ২৯
মার্চ ঢাকা রিজেন্সি হোটেল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের সঙ্গে
পাওয়া যায় পাঁচ পৃষ্ঠার একটি চিঠি। স্ত্রী লাজুককে তিনি এ চিঠিটি লিখেন।
চিঠিতে আছে মিনার মাহমুদের জীবন, প্রেম, বিদেশে চলে যাওয়া থেকে শুরু করে
অনেক কিছু। চিঠিটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো।
লাজুক,
আমার এই ৫৩ বছর বয়সী জীবনে অনেক অনেক মেয়েকে দেখেছি। কিন্তু তোমার উদাহরণের বাস্তব ব্যক্তিকে দেখিনি। অবাক হই, সৃষ্টিকর্তা কেন তোমার মতো মানুষকে পৃথিবীতে প্রেরণ করলেন।
সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমি জানতাম, কোথায় যাচ্ছি, কী করতে যাচ্ছি। বুক ভেঙে কান্না আসছিল। চেষ্টা করেও চেপে রাখতে পারলাম না। এত দিনের চেনাজানা এ বাড়িতে আর ফিরব না। আর দেখা হবে না তোমার সঙ্গে । চেপে রাখা মুখ ঠেলে কান্না এল। নিজেকে খুন করে ফেলার এ আয়োজনে সবচেয়ে প্রতিবন্ধকতা ছিলে তুমি।
আমার মৃতদেহের ওপর আছড়ে পড়ে তোমার কান্না—ভাবতেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। আবার সিদ্ধান্ত নিই। সেই লাজুক তুমি এখন নিঃসঙ্গ, একাকী।
তোমার মনে প্রথম প্রশ্ন আসবে, আমি কেন আত্মহত্যা করলাম? গতকাল দৈনিক আজকের প্রত্যাশা থেকে রিজাইন করেছি বলে? মোটেও না। আসলে নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। কারও প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ আছে, আমার বাংলাদেশের সার্বিক সমাজব্যবস্থায়।
সাংবাদিকতা আমার জীবন বদলে দিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করলেও মাস্টার্স শেষ করতে পারিনি সাংবাদিকতা সূত্রে মাস্তানদের হুমকির কারণে। ক্যাম্পাস ছিল আমার জন্য নিষিদ্ধ এলাকা। সাপ্তাহিক বিচিত্রা দিয়ে শুরু করেছিলাম। পদত্যাগে বাধ্য করা হলো আমাকে দুর্নীতির অভিযোগে। লতা হোসেন আমার জীবনের সবচেয়ে আত্মার বন্ধু। তাঁর সহযোগিতায় বিচিন্তা বের করলাম। মোটামুটি সফল। নিষিদ্ধ হলো কিছুদিন পর। জেলজীবন। তিন বছর বেকার। এরপর এলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের একমাত্র সোল এজেন্ট খালেদা জিয়া। বিচিন্তা সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা। তখন সাপ্তাহিক কার্যদিবসের প্রতিটি দিনই হাজির থাকতে হতো কোর্টপাড়ায়। বুঝতে পারছিলাম, স্থায়ীভাবে জেলজীবন দেখানোর পরিকল্পনা আছে গণতান্ত্রিক সরকারের। উপায়হীন আমি পালিয়ে গেলাম আমেরিকায়। বিচিন্তা-সংশ্লিষ্ট কর্মীরা যাতে বেকার না হন, বিচিন্তা হস্তান্তর করে গেলাম ইউএনবির এনায়েতুল্লাহ খানের কাছে।
১৮ বছর দাসত্বের জীবন কাটিয়েছি আমেরিকায়। ১৮ হাজার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি, কত কোটি টাকায় বিক্রি করেছ বিচিন্তা? সবাই শুধু বিকৃত মানসিকতার একটি বিষয়ই বিবেচনা করেছে। কিন্তু দেশে ফিরে ২০১০ সালে যখন এনায়েতুল্লাহ খানের কাছ থেকে বিচিন্তা ফিরিয়ে নেই, একজনও প্রশ্ন করেনি, কত টাকায় ফেরত নিলাম।
লাজুক, সাংবাদিকতা পেশায় মেধাহীন আমি শ্রমই দিয়েছি। নিউজপ্রিন্টের ওপর বলপয়েন্ট দিয়ে ক্রমাগত লিখে যাওয়া—হাত ফুলে উঠত। লাইট বাল্বের উত্তাপ দিয়ে সেক দেওয়া। আবার লেখা। নিজের কাছে প্রশ্ন করি, সাংবাদিকতা পেশার নাম বিনিয়োগ করে কখনো আমি কি কোনো সুবিধা নিয়েছি? নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এখন চার হাজার টাকা। কোনো বাড়ি অথবা দেশের কোথাও এক ইঞ্চি জমি নেই। আক্ষরিক অর্থে সর্বহারা। একটা সময়ে বাংলাদেশকে আমি দেখেছি, পর্বতের উচ্চতা থেকে। নিজের জন্য সম্পদ, মাথায় আসেনি।
যে কথাটা বলতে চাইনি, নিউইয়র্কে আমার জীবনযাপন ছিল আত্মকেন্দ্রিক। বিচ্ছিন্ন ছিলাম দেশ এবং বাংলা ভাষা থেকে। নেটলাইনে কৃষ্ণকলির গানগুলো শুনতাম, এমন স্থির, কনফিডেন্স। বাংলাদেশ আবার বিজয় হয়ে আসে জীবনে। আর ঠিক এই সময়ে তুমি অপরাজিতা। নেটলাইনে পরিচয়, শুনি তোমার অসাধারণ জীবন্ত গান। সিদ্ধান্ত ছিল বাংলাদেশে আমার মৃতদেহও যাবে না। তাই শরীরের সবকিছু অগ্রিম দান করে রেখেছিলাম হাসপাতালে। তুমি বদলে দিলে সবকিছু।
লাজুক, আমি সিদ্ধান্ত নিই, ফিরে যাব দেশে। প্রথম দেখা হয় তোমার সঙ্গে বিমানবন্দরে। দীর্ঘ দেহী, শ্যামলা। আশ্চর্য চোখ তোমার। কথা বলে চোখের ভাষায়। তোমার আমার প্রথম দেখা, বিয়েসহ সব সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে আমরা চূড়ান্ত করে ফেলেছি। তুমি দাঁড়িয়েছিলে চেনা অথবা অচেনা মানুষটার জন্য। আমি তোমাকে দেখি সবটুকু। চারদিকে কোনোকিছু কেয়ার না করে কাছে টেনে বুকে নেওয়ার ইচ্ছা হয় তোমাকে।
এখন শোনো লাজুক। আমি সর্বহারা। ‘কিছু নেই’ একজন মানুষ। বিচিন্তা আবার প্রকাশ করেছিলাম, পাঠকেরা নেয়নি। পরে একটি চাকরির জন্য কত চেনা অচেনা পত্রিকা, মিডিয়ায় চেষ্টা করেছি, কেউ নেয়নি। অবাক হয়েছেন নিয়মিত লেখা এক সাংবাদিক। হাজিরা দেব, নিয়মিত লিখব, মাস শেষে একটা বেতন কোথাও হয়নি। কাউকে অভিযোগ করিনি।
লাজুক, বেশ কয়েক দিন ধরে চিন্তা করেছি—মৃত্যু। তারপর কোথায়? এরপর কি জীবনের আর কোনোকিছু ফিরে পাওয়া? খুব অবাক হয়েছি, বাংলাদেশের কোনো দৈনিক পত্রিকায় আমার স্থান হলো না।
বিচিন্তা শুরু করেছিলাম একদল তরুণ নিয়ে। বিরাট এক ঝুঁকি। কোনো পত্রিকা নেয় না। আমি নিয়ে নিয়েছিলাম। কারণ নতুন সাংবাদিক আনতে। খুব, খুব কষ্ট পেয়েছি, অপমানিত হয়েছি। যুগকে জিজ্ঞাসা করো, বাংলাদেশে সাংবাদিকতার নতুন ধারা যারা তৈরি করেছে, তাদের একজন আমিও।
আমি মিনার, আমেরিকা থেকে যখন দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিই, শুনে সবাই অবাক। প্রশ্ন করে, বাংলাদেশে কেন ফিরে যাচ্ছি। আমি অবাক হই, নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছি—এটা নিয়ে প্রশ্ন কেন? কোথায় যাব আমি তাহলে?
লাজুক আমি নিজকে খুন করে ফেললাম। কোনো বিকল্প না পেয়ে। কাগজপত্রে আমি একজন আমেরিকাবাসী এখন। তুমি যেতে চাও না। বিদায় তোমাকে। তুমি চাওনি বলে আমি আমেরিকা যাইনি। দয়া করে বেঁচে থেকো লাজুক। প্লিজ প্লিজ.......(১৯ বার)। আমি এখন ট্যাবলেট খাচ্ছি।
লাজুক,
আমার এই ৫৩ বছর বয়সী জীবনে অনেক অনেক মেয়েকে দেখেছি। কিন্তু তোমার উদাহরণের বাস্তব ব্যক্তিকে দেখিনি। অবাক হই, সৃষ্টিকর্তা কেন তোমার মতো মানুষকে পৃথিবীতে প্রেরণ করলেন।
সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমি জানতাম, কোথায় যাচ্ছি, কী করতে যাচ্ছি। বুক ভেঙে কান্না আসছিল। চেষ্টা করেও চেপে রাখতে পারলাম না। এত দিনের চেনাজানা এ বাড়িতে আর ফিরব না। আর দেখা হবে না তোমার সঙ্গে । চেপে রাখা মুখ ঠেলে কান্না এল। নিজেকে খুন করে ফেলার এ আয়োজনে সবচেয়ে প্রতিবন্ধকতা ছিলে তুমি।
আমার মৃতদেহের ওপর আছড়ে পড়ে তোমার কান্না—ভাবতেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। আবার সিদ্ধান্ত নিই। সেই লাজুক তুমি এখন নিঃসঙ্গ, একাকী।
তোমার মনে প্রথম প্রশ্ন আসবে, আমি কেন আত্মহত্যা করলাম? গতকাল দৈনিক আজকের প্রত্যাশা থেকে রিজাইন করেছি বলে? মোটেও না। আসলে নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। কারও প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ আছে, আমার বাংলাদেশের সার্বিক সমাজব্যবস্থায়।
সাংবাদিকতা আমার জীবন বদলে দিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করলেও মাস্টার্স শেষ করতে পারিনি সাংবাদিকতা সূত্রে মাস্তানদের হুমকির কারণে। ক্যাম্পাস ছিল আমার জন্য নিষিদ্ধ এলাকা। সাপ্তাহিক বিচিত্রা দিয়ে শুরু করেছিলাম। পদত্যাগে বাধ্য করা হলো আমাকে দুর্নীতির অভিযোগে। লতা হোসেন আমার জীবনের সবচেয়ে আত্মার বন্ধু। তাঁর সহযোগিতায় বিচিন্তা বের করলাম। মোটামুটি সফল। নিষিদ্ধ হলো কিছুদিন পর। জেলজীবন। তিন বছর বেকার। এরপর এলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের একমাত্র সোল এজেন্ট খালেদা জিয়া। বিচিন্তা সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা। তখন সাপ্তাহিক কার্যদিবসের প্রতিটি দিনই হাজির থাকতে হতো কোর্টপাড়ায়। বুঝতে পারছিলাম, স্থায়ীভাবে জেলজীবন দেখানোর পরিকল্পনা আছে গণতান্ত্রিক সরকারের। উপায়হীন আমি পালিয়ে গেলাম আমেরিকায়। বিচিন্তা-সংশ্লিষ্ট কর্মীরা যাতে বেকার না হন, বিচিন্তা হস্তান্তর করে গেলাম ইউএনবির এনায়েতুল্লাহ খানের কাছে।
১৮ বছর দাসত্বের জীবন কাটিয়েছি আমেরিকায়। ১৮ হাজার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি, কত কোটি টাকায় বিক্রি করেছ বিচিন্তা? সবাই শুধু বিকৃত মানসিকতার একটি বিষয়ই বিবেচনা করেছে। কিন্তু দেশে ফিরে ২০১০ সালে যখন এনায়েতুল্লাহ খানের কাছ থেকে বিচিন্তা ফিরিয়ে নেই, একজনও প্রশ্ন করেনি, কত টাকায় ফেরত নিলাম।
লাজুক, সাংবাদিকতা পেশায় মেধাহীন আমি শ্রমই দিয়েছি। নিউজপ্রিন্টের ওপর বলপয়েন্ট দিয়ে ক্রমাগত লিখে যাওয়া—হাত ফুলে উঠত। লাইট বাল্বের উত্তাপ দিয়ে সেক দেওয়া। আবার লেখা। নিজের কাছে প্রশ্ন করি, সাংবাদিকতা পেশার নাম বিনিয়োগ করে কখনো আমি কি কোনো সুবিধা নিয়েছি? নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এখন চার হাজার টাকা। কোনো বাড়ি অথবা দেশের কোথাও এক ইঞ্চি জমি নেই। আক্ষরিক অর্থে সর্বহারা। একটা সময়ে বাংলাদেশকে আমি দেখেছি, পর্বতের উচ্চতা থেকে। নিজের জন্য সম্পদ, মাথায় আসেনি।
যে কথাটা বলতে চাইনি, নিউইয়র্কে আমার জীবনযাপন ছিল আত্মকেন্দ্রিক। বিচ্ছিন্ন ছিলাম দেশ এবং বাংলা ভাষা থেকে। নেটলাইনে কৃষ্ণকলির গানগুলো শুনতাম, এমন স্থির, কনফিডেন্স। বাংলাদেশ আবার বিজয় হয়ে আসে জীবনে। আর ঠিক এই সময়ে তুমি অপরাজিতা। নেটলাইনে পরিচয়, শুনি তোমার অসাধারণ জীবন্ত গান। সিদ্ধান্ত ছিল বাংলাদেশে আমার মৃতদেহও যাবে না। তাই শরীরের সবকিছু অগ্রিম দান করে রেখেছিলাম হাসপাতালে। তুমি বদলে দিলে সবকিছু।
লাজুক, আমি সিদ্ধান্ত নিই, ফিরে যাব দেশে। প্রথম দেখা হয় তোমার সঙ্গে বিমানবন্দরে। দীর্ঘ দেহী, শ্যামলা। আশ্চর্য চোখ তোমার। কথা বলে চোখের ভাষায়। তোমার আমার প্রথম দেখা, বিয়েসহ সব সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে আমরা চূড়ান্ত করে ফেলেছি। তুমি দাঁড়িয়েছিলে চেনা অথবা অচেনা মানুষটার জন্য। আমি তোমাকে দেখি সবটুকু। চারদিকে কোনোকিছু কেয়ার না করে কাছে টেনে বুকে নেওয়ার ইচ্ছা হয় তোমাকে।
এখন শোনো লাজুক। আমি সর্বহারা। ‘কিছু নেই’ একজন মানুষ। বিচিন্তা আবার প্রকাশ করেছিলাম, পাঠকেরা নেয়নি। পরে একটি চাকরির জন্য কত চেনা অচেনা পত্রিকা, মিডিয়ায় চেষ্টা করেছি, কেউ নেয়নি। অবাক হয়েছেন নিয়মিত লেখা এক সাংবাদিক। হাজিরা দেব, নিয়মিত লিখব, মাস শেষে একটা বেতন কোথাও হয়নি। কাউকে অভিযোগ করিনি।
লাজুক, বেশ কয়েক দিন ধরে চিন্তা করেছি—মৃত্যু। তারপর কোথায়? এরপর কি জীবনের আর কোনোকিছু ফিরে পাওয়া? খুব অবাক হয়েছি, বাংলাদেশের কোনো দৈনিক পত্রিকায় আমার স্থান হলো না।
বিচিন্তা শুরু করেছিলাম একদল তরুণ নিয়ে। বিরাট এক ঝুঁকি। কোনো পত্রিকা নেয় না। আমি নিয়ে নিয়েছিলাম। কারণ নতুন সাংবাদিক আনতে। খুব, খুব কষ্ট পেয়েছি, অপমানিত হয়েছি। যুগকে জিজ্ঞাসা করো, বাংলাদেশে সাংবাদিকতার নতুন ধারা যারা তৈরি করেছে, তাদের একজন আমিও।
আমি মিনার, আমেরিকা থেকে যখন দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিই, শুনে সবাই অবাক। প্রশ্ন করে, বাংলাদেশে কেন ফিরে যাচ্ছি। আমি অবাক হই, নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছি—এটা নিয়ে প্রশ্ন কেন? কোথায় যাব আমি তাহলে?
লাজুক আমি নিজকে খুন করে ফেললাম। কোনো বিকল্প না পেয়ে। কাগজপত্রে আমি একজন আমেরিকাবাসী এখন। তুমি যেতে চাও না। বিদায় তোমাকে। তুমি চাওনি বলে আমি আমেরিকা যাইনি। দয়া করে বেঁচে থেকো লাজুক। প্লিজ প্লিজ.......(১৯ বার)। আমি এখন ট্যাবলেট খাচ্ছি।
Do you even thing about what you are eating in a resturent ? Is this is ok or not ?
ছবি: প্রথম আলো
বাজার
থেকে মরা মুরগি সংগ্রহ করে বিক্রির অভিযোগে দুজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার ভোরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের
রেলওয়ে স্টেশন মুরগি মার্কেটের নোয়াখালী স্টোরের পেছন থেকে ১০২টি মরা
মুরগিসহ দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন দেলোয়ার হোসেন (৪২) ও রেশমা আক্তার (৩৫)। এর মধ্যে দেলোয়ারকে দুই বছর ও রেশমাকে দেড় বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসনাত মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা আদালত পরিচালনা করেন।
ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা প্রথম আলোকে বলেন, রাতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে রাজধানীর মুরগির আড়তে মুরগি আনা হয়। এভাবে আনার সময় খাঁচার মধ্যে কিছু মুরগি নিয়মিত মারা যায়। মরা মুরগিগুলো ট্রাক থেকে ফেলে দেওয়ার পরপরই একশ্রেণীর লোক সেগুলো তুলে চামড়া ছিলে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও ক্যানটিনে সরবরাহ করে। তিনি জানান, ১০০ টাকার মুরগি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় এগুলোর ক্রেতার অভাব হয় না। বিষয়টি জানতে পেরে সারা রাত খোঁজখবর নিয়ে ভোরের দিকে ওই চক্রের দুজনকে হাতেনাতে ধরা হয়। অন্যদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন দেলোয়ার হোসেন (৪২) ও রেশমা আক্তার (৩৫)। এর মধ্যে দেলোয়ারকে দুই বছর ও রেশমাকে দেড় বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসনাত মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা আদালত পরিচালনা করেন।
ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা প্রথম আলোকে বলেন, রাতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে রাজধানীর মুরগির আড়তে মুরগি আনা হয়। এভাবে আনার সময় খাঁচার মধ্যে কিছু মুরগি নিয়মিত মারা যায়। মরা মুরগিগুলো ট্রাক থেকে ফেলে দেওয়ার পরপরই একশ্রেণীর লোক সেগুলো তুলে চামড়া ছিলে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও ক্যানটিনে সরবরাহ করে। তিনি জানান, ১০০ টাকার মুরগি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় এগুলোর ক্রেতার অভাব হয় না। বিষয়টি জানতে পেরে সারা রাত খোঁজখবর নিয়ে ভোরের দিকে ওই চক্রের দুজনকে হাতেনাতে ধরা হয়। অন্যদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
Mony mony and this dam Mony make the world into a hell. Ofcurs it's on us we the people who can do any thing for mony .Even also killing a child .Who long this mony will stay with you ? after the death also ?
বগুড়ার
কাহালু উপজেলায় নাইমুল ইসলাম (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্রকে অপহরণের পর
হত্যা করে লাশ ইটভাটায় পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে
দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে নাইমুলের ব্যাগ, বই, টিফিন
বক্স ও পানির বোতল।
শাহাদত হোসেন (১৮) নামের এক আসামি গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে স্বীকার করেছেন, পাঁচ লাখ টাকার লোভে তাঁরা নাইমুলকে অপহরণ করেন। পরে নাইমুল তাঁদের চিনে ফেলায় লাশ গুম করতে ইটভাটায় পোড়ানো হয়।
নিহত নাইমুল কাহালুর রোস্তম চাপড় গ্রামের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের ছেলে। পড়ত কাহালু পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে। সহপাঠীরা জানিয়েছে, নাইমুল পঞ্চম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।
নাইমুলের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে গতকাল কাহালু পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও রোস্তম চাপড় গ্রামের বাসিন্দারা বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া শাহাদত ও আবদুল মান্নানকে (৫০) গতকাল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে (ডিবি) সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। শাহাদত কাহালু ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও উলট মধ্যপাড়া গ্রামের শাজাহানের ছেলে। মান্নান কাহালুর চারমাথার বাসিন্দা ও কাহালুর পূর্ব পাড়ায় অবস্থিত একটি ইটভাটার মালিক।
শাহাদত অবলীলায় নাইমুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, কাহালু পৌরসভার চারমাথা এলাকার জাকারিয়া (গ্রেপ্তার হওয়া আবদুল মান্নানের ছেলে), ডালিম ও জামাল নামের তিন যুবক তাঁকে বলেছিল, তাঁদের সঙ্গে একটি কাজ করলে জীবনে আর টাকাপয়সার জন্য কোনো কাজ করতে হবে না। বড়লোক হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় তিনি এ হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেন।
শাহাদতের ভাষ্যমতে, ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কাহালুর অবজেকটিভ কোচিং সেন্টারের উদ্দেশে বের হয় নাইমুল। ওই সময় তাকে কোচিংয়ের প্রশ্ন দেওয়ার কথা বলে কাহালু চারমাথা এলাকায় জাকারিয়ার দোকানঘরে নিয়ে আসা হয়। এরপর নাইমুলের মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। এ সময় নাইমুলের মুঠোফোন নিয়ে তাঁরা বগুড়া শহরের দিকে চলে যান এবং নাইমুলের বাবার কাছে মুক্তিপণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। ওই দিন বিকেলে শাহাদতকে জাকারিয়া জানান, নাইমুল তাঁদের দুজনকে চিনে ফেলেছে। তাই তাকে আর বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। এ কথা বলে তাঁকে (শাহাদত) ও শাকিল নামের একজনকে ওই দোকানে যেতে বলেন।
শাহাদতের বর্ণনা অনুযায়ী, ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে নাইমুলের চোখ বেঁধে জাকারিয়া, ডালিম ও জামাল তাকে প্রথমে চাকু দিয়ে ভয় দেখায়। পরে গলায় রশি দিয়ে দুই পাশ থেকে টান মেরে শ্বাসরোধে নাইমুলকে হত্যা করা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি মোটরসাইকেলের মধ্যে মৃত নাইমুলকে বসিয়ে মান্নানের ইটভাটায় নিয়ে যান জাকারিয়া ও ডালিম। পরে ভাটার শ্রমিক মতির সামনে নাইমুলকে জ্বলন্ত আগুনে ফেলে পুড়িয়ে ফেলা হয়। গভীর রাতে জাকারিয়া শাহাদতকে ফোন করে ইটভাটায় পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা বর্ণনা করে জানান, ‘এখন আর কোনো সমস্যা নেই।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডল ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, অপহরণের ঘটনায় কাহালু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নাইমুলের বাবা রফিকুল ইসলাম। একযোগে মাঠে নামে পুলিশ। এদিকে অপহরণকারীরা নাইমুলকে ৫ এপ্রিল হত্যা করলেও তা গোপন রাখে এবং গত সোমবার সকালে নাইমুলের বাবা রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা আদায় করে। ওই টাকা দিয়ে জাকারিয়া একটি নতুন মোটরসাইকেল কেনেন।
শাহাদত সাংবাদিকদের জানান, মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কাহালু রেলস্টেশনের কাছে জাকারিয়া, ডালিম ও জামালের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যান।
শাহাদতের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ জাকারিয়ার দোকানঘর থেকে নাইমুলের স্কুলব্যাগ উদ্ধার করে। ব্যাগে নাইমুলের বই-খাতা, টিফিন বক্স ও পানির বোতল পাওয়া যায়। এ সময় দোকানঘর থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর ইটভাটার মালিক জাকারিয়ার বাবা আবদুল মান্নানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে মান্নান সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি ও তাঁর ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে জাকারিয়া মোটরসাইকেলে কিনেছে।
ওই সময় শাহাদত বলেন, মান্নানের ছেলে জাকারিয়াই এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা।
আবদুল মান্নান নিজেকে উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা বলে পরিচয় দেন। তবে কাহালু উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুর রহমান জানান, মান্নান বিএনপির সঙ্গে যুক্ত নন। গত পৌরসভার নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।
গতকাল দুপুরে কাহালুর পূর্ব পাড়া এলাকায় ওই ইটভাটায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এদিকে নাইমুলের নৃশংস মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা শোকে ভেঙে পড়েছে। কথা বলতে পারেননি শোকার্ত বাবা রফিকুল ইসলাম।
হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি: এদিকে নাইমুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কাহালু সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কাহালু পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়ে শোকসভা, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। পরে তারা হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সঞ্চারকলিপি দেয়। এদিকে একই দাবিতে প্রায় একই সময়ে বগুড়া-নওগাঁ সড়কের কালিয়াপুকুর স্থানে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রোস্তম চাপড়া গ্রামবাসী।
শাহাদত হোসেন (১৮) নামের এক আসামি গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে স্বীকার করেছেন, পাঁচ লাখ টাকার লোভে তাঁরা নাইমুলকে অপহরণ করেন। পরে নাইমুল তাঁদের চিনে ফেলায় লাশ গুম করতে ইটভাটায় পোড়ানো হয়।
নিহত নাইমুল কাহালুর রোস্তম চাপড় গ্রামের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের ছেলে। পড়ত কাহালু পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে। সহপাঠীরা জানিয়েছে, নাইমুল পঞ্চম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।
নাইমুলের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে গতকাল কাহালু পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও রোস্তম চাপড় গ্রামের বাসিন্দারা বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া শাহাদত ও আবদুল মান্নানকে (৫০) গতকাল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে (ডিবি) সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। শাহাদত কাহালু ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও উলট মধ্যপাড়া গ্রামের শাজাহানের ছেলে। মান্নান কাহালুর চারমাথার বাসিন্দা ও কাহালুর পূর্ব পাড়ায় অবস্থিত একটি ইটভাটার মালিক।
শাহাদত অবলীলায় নাইমুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, কাহালু পৌরসভার চারমাথা এলাকার জাকারিয়া (গ্রেপ্তার হওয়া আবদুল মান্নানের ছেলে), ডালিম ও জামাল নামের তিন যুবক তাঁকে বলেছিল, তাঁদের সঙ্গে একটি কাজ করলে জীবনে আর টাকাপয়সার জন্য কোনো কাজ করতে হবে না। বড়লোক হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় তিনি এ হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেন।
শাহাদতের ভাষ্যমতে, ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কাহালুর অবজেকটিভ কোচিং সেন্টারের উদ্দেশে বের হয় নাইমুল। ওই সময় তাকে কোচিংয়ের প্রশ্ন দেওয়ার কথা বলে কাহালু চারমাথা এলাকায় জাকারিয়ার দোকানঘরে নিয়ে আসা হয়। এরপর নাইমুলের মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। এ সময় নাইমুলের মুঠোফোন নিয়ে তাঁরা বগুড়া শহরের দিকে চলে যান এবং নাইমুলের বাবার কাছে মুক্তিপণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। ওই দিন বিকেলে শাহাদতকে জাকারিয়া জানান, নাইমুল তাঁদের দুজনকে চিনে ফেলেছে। তাই তাকে আর বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। এ কথা বলে তাঁকে (শাহাদত) ও শাকিল নামের একজনকে ওই দোকানে যেতে বলেন।
শাহাদতের বর্ণনা অনুযায়ী, ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে নাইমুলের চোখ বেঁধে জাকারিয়া, ডালিম ও জামাল তাকে প্রথমে চাকু দিয়ে ভয় দেখায়। পরে গলায় রশি দিয়ে দুই পাশ থেকে টান মেরে শ্বাসরোধে নাইমুলকে হত্যা করা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি মোটরসাইকেলের মধ্যে মৃত নাইমুলকে বসিয়ে মান্নানের ইটভাটায় নিয়ে যান জাকারিয়া ও ডালিম। পরে ভাটার শ্রমিক মতির সামনে নাইমুলকে জ্বলন্ত আগুনে ফেলে পুড়িয়ে ফেলা হয়। গভীর রাতে জাকারিয়া শাহাদতকে ফোন করে ইটভাটায় পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা বর্ণনা করে জানান, ‘এখন আর কোনো সমস্যা নেই।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডল ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, অপহরণের ঘটনায় কাহালু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নাইমুলের বাবা রফিকুল ইসলাম। একযোগে মাঠে নামে পুলিশ। এদিকে অপহরণকারীরা নাইমুলকে ৫ এপ্রিল হত্যা করলেও তা গোপন রাখে এবং গত সোমবার সকালে নাইমুলের বাবা রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা আদায় করে। ওই টাকা দিয়ে জাকারিয়া একটি নতুন মোটরসাইকেল কেনেন।
শাহাদত সাংবাদিকদের জানান, মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কাহালু রেলস্টেশনের কাছে জাকারিয়া, ডালিম ও জামালের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যান।
শাহাদতের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ জাকারিয়ার দোকানঘর থেকে নাইমুলের স্কুলব্যাগ উদ্ধার করে। ব্যাগে নাইমুলের বই-খাতা, টিফিন বক্স ও পানির বোতল পাওয়া যায়। এ সময় দোকানঘর থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর ইটভাটার মালিক জাকারিয়ার বাবা আবদুল মান্নানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে মান্নান সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি ও তাঁর ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে জাকারিয়া মোটরসাইকেলে কিনেছে।
ওই সময় শাহাদত বলেন, মান্নানের ছেলে জাকারিয়াই এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা।
আবদুল মান্নান নিজেকে উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা বলে পরিচয় দেন। তবে কাহালু উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুর রহমান জানান, মান্নান বিএনপির সঙ্গে যুক্ত নন। গত পৌরসভার নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।
গতকাল দুপুরে কাহালুর পূর্ব পাড়া এলাকায় ওই ইটভাটায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এদিকে নাইমুলের নৃশংস মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা শোকে ভেঙে পড়েছে। কথা বলতে পারেননি শোকার্ত বাবা রফিকুল ইসলাম।
হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি: এদিকে নাইমুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কাহালু সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কাহালু পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়ে শোকসভা, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। পরে তারা হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সঞ্চারকলিপি দেয়। এদিকে একই দাবিতে প্রায় একই সময়ে বগুড়া-নওগাঁ সড়কের কালিয়াপুকুর স্থানে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রোস্তম চাপড়া গ্রামবাসী।
Is this is believable ? What they are saying about the money . Same on . Same to them .
রেলমন্ত্রীর এপিএসের গাড়ি হঠাৎ পিলখানায়
শরিফুল হাসান | তারিখ: ১১-০৪-২০১২
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত,রেলমন্ত্রী
গাড়ির তিন যাত্রী হলেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধা, তাঁর নিরাপত্তা কর্মকর্তা রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট এনামুল হক ও রেলমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদার। মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৩-৭৯৯২) চালাচ্ছিলেন এপিএস ফারুকের ব্যক্তিগত চালক আজম খান। গন্তব্য—রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসা। বাকি সব ঠিক আছে, গোল বাধিয়েছে টাকা।
ঘটনা সম্পর্কে রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজম দুই বছর ধরে আমার গাড়ি চালায়। কিন্তু সোমবার রাতে সে আমাকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের চেষ্টা করে। মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাওয়ার পথে হঠাৎ করে গাড়িটি সে বিজিবি সদর দপ্তরে ঢুকিয়ে দেয় এবং চেঁচামেচি করে বলতে থাকে, গাড়িতে অনেক টাকা আছে। তাঁর হইচই শুনে বিজিবির সদস্য ও সেনাসদস্যরা সেখানে আসেন। তাঁরা আমাদের বিজিবির নিরাপত্তাকক্ষে নিয়ে বসিয়ে রাখেন। গতকাল সকালে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আমাদের ছেড়ে দেন।’
রেলের পূর্বাঞ্চলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন একটি ট্রেন চালু হবে। সেটি শায়েস্তাগঞ্জে থামবে কি থামবে না, সে বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাচ্ছিলাম। এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি মন্ত্রীর বাসায় গিয়েছি। সোমবার রাতে আমি ফারুক ভাইকে (মন্ত্রীর এপিএস) ফোন দিয়ে বলি, মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাব। ফারুক ভাই আমাকে ধানমন্ডিতে যেতে বলেন। সেখানে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় যাই এবং ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে গাড়িতে উঠি। মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাওয়ার পথে গাড়িচালক হঠাৎ করে পিলখানায় ঢুকে পড়ে। সে আমাদের সবার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’
অপর যাত্রী এনামুল হক রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট ও ইউসুফ আলী মৃধার নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘জিএম স্যার আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাঁর আদেশেই আমি কমলাপুর থেকে তাঁর সঙ্গে যাই। ধানমন্ডি থেকে গাড়ি নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের বাসার দিকে যাওয়ার পথে হঠাৎ করেই আজম গাড়িটি পিলখানায় ঢুকিয়ে দেয়। আমরা তখন তাকে বলি, “তুমি কই যাচ্ছ?” সে বলে, “আপনারা সবাই গাড়ি থেকে নেমে যান। নইলে আমি সিনক্রিয়েট করব।” এর পরই সে হইচই শুরু করে দিলে বিজিবির সদস্যরা এগিয়ে আসে। এরপর সারা রাত আমাদের একটি কক্ষে বসিয়ে রাখে বিজিবির সদস্যরা। তবে তারা সবাই ভালো ব্যবহার করেছে।”’
গত রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গাড়িচালক আজম বিজিবির হেফাজতে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে ঘটনার রাতেই তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের কাছে দাবি করেছেন, গাড়িতে অনেক টাকা ছিল। গাড়ি নিয়ে পিলখানায় ঢুকে পড়লে ওমর ফারুক তাঁকে বলেন, ‘এখান থেকে তোমাকে ৩০ লাখ টাকা দিব, গাড়ি ঘুরিয়ে আমাদের বাইরে দিয়ে আসো।’
জানতে চাইলে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতের বেলা তিনজন লোক একটি গাড়িয়ে নিয়ে পিলখানায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় পিলখানার ভেতরে বসিয়ে রাখা হয়। সকালে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি হয়েছে। জিএম ইউসুফ আলী মৃধার বিষয়ে তদন্ত করবেন রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) শশী কুমার সিং। ওমর ফারুক তালুকদারের বিষয়ে তদন্ত করবেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) আখতারুজ্জামান। দুটি কমিটিকেই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
টাকা, গন্তব্য এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য: চালক আজম হঠাৎ করে এমন ঘটনা কেন ঘটালেন, জানতে চাইলে মন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক বলেন, ‘আজম ইদানীং মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল। গাড়িতে আমার ব্যক্তিগত কিছু টাকা ছিল, ২৫ লাখ। আজম বিজিবিতে আমাদের নামিয়ে দিয়ে সেই টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। সে আমাদের তিনজনের মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়েছিল।’
এত রাতে মন্ত্রীর বাসায় কেন যাচ্ছিলেন জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, ‘শায়েস্তাগঞ্জে নতুন রেলওয়ে নিয়ে কিছু সমস্যার বিষয়ে পরামর্শ নিতে রাতে মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলাম।’ রাতে গাড়িতে এত টাকা নিয়ে বের হলেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যবসায়িক টাকা। গাড়িতেই ছিল।’ গাড়িতে নাকি ৭০ লাখ টাকা ছিল? ‘এটি ঠিক নয়, ২৫ লাখ টাকা’—দাবি এপিএস ফারুকের। মন্ত্রীর এই এপিএস জানান, গতকাল সকালেই তিনি ওই টাকা তাঁর ব্যাংক হিসাবে জমা করে দিয়েছেন।
টাকার বিষয়ে রেলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা বললেন, ‘গাড়িতে কী টাকা ছিল, কত টাকা ছিল, কিছুই আমি জানি না। ফারুক ভাই বলছেন, এগুলো তাঁর টাকা। আমি আর তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসা করিনি। চালক আজম ওই টাকা নিয়ে পালাতে চেয়েছিল।’
এনামুল হক বলেন, ‘টাকা কোথা থেকে এসেছে, আমি জানি না। আমি কোনো টাকা দেখিনি।’
সোমবার রাতে এটিএন নিউজকে টেলিফোনে দেওয়া বক্তব্যে গাড়িচালক আজম খান বলেন, ‘রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক গাড়িতে উঠে আমাকে বলে, “ধানমন্ডি ৩ নম্বরে যাও।” সেখানে যাওয়ার পর বলে, “গাড়ির সিটটা ভাঙো। একটা ব্যাগ উঠাও।” এরপর তিনজন লোক ওঠে। বলে, “জিগাতলার দিকে যাও।” আমি তখন বলি, “এত টাকা নিয়ে আমি গাড়ি চালাতে পারব না। অবৈধ টাকা। আমার ভয় লাগে।” এ সময় ওমর ফারুক বলেন, “কী বলো তুমি, উল্টাপাল্টা!” আমি এ সময় বিডিআরের (বিজিবি) ৪ নম্বর গেটের সামনে ছিলাম। আমি তখন গাড়ি ভেতরে ঢুকিয়ে দিই। তখন তারা আমাকে বলে, “তুমি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে যাও। আমাদের বাইরে দিয়ে আসো।” তারা বলে, “৩০ লাখ টাকা! তোমার সারা জীবন আর কিছু করা লাগবে না।”’
টাকাসহ গাড়িটি সোমবার সারা রাত পিলখানায় ছিল। টাকার পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘টাকার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে প্রশ্ন করেছিলেন, শোনা যাচ্ছে, গাড়িতে নাকি ৭০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এটা কি সরকারি টাকা? জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নই আসে না।’ আপনার এপিএস ওমর ফারুকের কাছে এত টাকা কোথা থেকে এল জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা তাঁর ব্যক্তিগত টাকা। ফারুককে “ব্ল্যাকমেইল ও হাইজ্যাক” করার জন্য গাড়িচালক বিজিবির সদর দপ্তরে ঢুকে পড়ে। গাড়িতে ওই সময় রেলওয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব) ইউসুফ আলী মৃধাও ছিলেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় আইনে নিজের টাকা নিয়ে চলার অধিকার সবারই আছে। যদি তাদের আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ অর্থ পাওয়া যায়, এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) তা খতিয়ে দেখবে। এটা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়।’
কিছু অসংগতি: প্রথম আলো গাড়িচালক আজম ছাড়া এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছে। রেলওয়ের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা বলেছেন, ‘সোমবার সকালে আমি ঢাকায় এসেছি। অফিশিয়াল একটি মিটিং ছিল। রাতে মন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার সময় এনামুলকে সঙ্গে নিয়ে যাই।’
এপিএস ওমর ফারুক বলেছিলেন, ইউসুফ আলী মৃধা মন্ত্রীর বাসা চেনেন না। তাই তাঁকে তিনি সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে দাঁড়াতে বলেন এবং সেখান থেকে (ইউসুফ আলী) গাড়িতে তুলে নেন। আর ইউসুফ আলী বলেছেন, তিনি ধানমন্ডি ৩ নম্বর সড়কে এক আত্মীয়ের বাসায় গেছেন। সেখান থেকে একসঙ্গে মন্ত্রীর বাসায় রওনা হন। তিনি এর আগেও মন্ত্রীর বাসায় গেছেন।
ইউসুফ আলী মৃধা ও ওমর ফারুক বলেছেন, গাড়িচালক আজম তাঁদের তিনজনেরই মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছেন। তবে এনামুল হক বলেছেন, মোবাইল ফোন তাঁর কাছেই ছিল।
টিভিতে দেওয়া গাড়িচালক আজমের বক্তব্যের সঙ্গে বাকিদের কারও বক্তব্যের মিল নেই। আজম বলছেন, গাড়িতে টাকা তোলা হয়েছে ৩ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি থেকে। আর ওমর একবার বলেছেন, এগুলো তাঁর টাকা। আবার বলেছেন, তাঁর এক আত্মীয় লন্ডন থেকে এসেছেন। তাঁর আনা পাউন্ড ভাঙিয়ে এই টাকা করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইউসুফ আলী মৃধা ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্বাঞ্চলের (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট) মহাব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দেন। রেলওয়েতে বর্তমানে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের সাত হাজার পদে নিয়োগ চলছে। এর মধ্যে গত কয়েক মাসে সাড়ে তিন হাজার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। ইউসুফ আলী পূর্বাঞ্চলের নিয়োগ কমিটির প্রধান। নিয়োগ নিয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ আছে—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইউসুফ আলী বলেন, ‘একটা ঘটনা ঘটেছে। এখন লোক
I had no idea about the hill before my tour of Bandorbon . Never ever i Think that a hill can be so beautiful more then anything .
If you can see the morning sun from top of the hill , Then you can realize about the wonderful creation of Allah .
It not just a hill. It's a prove of wonderful creation of the Allah .
If you can see the morning sun from top of the hill , Then you can realize about the wonderful creation of Allah .
It not just a hill. It's a prove of wonderful creation of the Allah .
Subscribe to:
Posts (Atom)