Tuesday, April 17, 2012

Sorisar modhe Vuth thakle ki vuth tarano jai

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন হাতে পেয়ে ‘অসন্তুষ্ট’ আদালত গোয়েন্দা পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে তলব করেছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

তলব করা ওই দুই কর্মকর্তা হলেন- মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম।

মামলার প্রাথমিক বিবরণ, সাক্ষীদের জবানবন্দি, মামলার যাবতীয় গোপনীয় নথিসহ তাদেরকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছারাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। ওই ঘটনায় ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ ব্যক্তিদের আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে, যার তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তবে খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভেকেট মনজিল মোরসেদের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট বেঞ্চ একটি রুল জারি করে।

রুল অনুযায়ী গত ২১ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে এবং ২২ মার্চ পুলিশ মহাপরিদর্শক পক্ষ থেকে তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে ওই কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে দুটি ‘অগ্রগতি প্রতিবেদন’ জমা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আলতাফ হোসেন বলেন, “প্রতিবেদন যাচাই করে দেখা যায় দুটির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তাই এফিডেভিট করে আজ প্রতিবেদন দুটি আদালতে দাখিল করি।”

শুনানি শেষে আদালত দুই কর্মকর্তাকে তলবের আদেশ দেয় বলেও জানান তিনি।

আলতাফ হোসেন বলেন, “আদালত কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তদন্তে অগ্রগতির প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। ডিসি ডিবি ও এই মামলার আইওকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে মামলার কার্যক্রম সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তাদেরকে মামলা সংক্রান্ত গোপনীয় নথি, গোয়েন্দা প্রতিবেদনসহ যাবতীয় নথি নিয়ে আসতে বলেছেন। এগুলো আদালত দেখবেন। তারপরই পরবর্তী পর্যবেক্ষণ দিবেন।”

“প্রতিবেদন দেখে আদালত আরো বলেছে, ফলাফল কিছুই নেই,” যোগ করেন তিনি।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, “আদালত তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আদালত বলেছেন, তদন্তের ফলাফল জিরো। এ ধরনের চাঞ্চল্যকর একটা মামলায় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে নিয়োগ না করে একজন পরিদর্শককে দিয়ে তদন্ত করানো হচ্ছে।”

প্রতিবেদন আগে এলেও তা না দেওয়ায় আদালতকে অনুযোগ করেন এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, “আমি আদালতকে বলেছি, এই মামলায় দেশবাসী উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই উদ্বিগ্ন। এরপরও কেন তদন্ত কর্মকর্তার ওই প্রতিবেদনে কোন অগ্রগতি নেই? যারা এই তদন্ত করছে, তারা কেন তদন্তকে এগিয়ে নিতে পারছে না। তাদের পুলিশ বিভাগেও থাকা উচিত নয়।”

রোমানা মঞ্জুরের ঘটনায় আদালতের আদেশের চার ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলেও এই চাঞ্চল্যকর মামলায় কেন কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, সে বিষয়েও আদালত প্রশ্ন তুলেছে বলে জানান মনজিল মোরসেদ।

No comments:

Post a Comment